Details
322

কানের যত্নে কী করবেন কী করবেন না

কানের যত্নে কী করবেন কী করবেন না

কান আমাদের শরীরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। কান না থাকলে আমরা যেমন শুনতে পারতাম না তেমনি পৃথিবীতে ‘কানাকানি’ শব্দও তৈরি হতো না। ‘কানাকানি’ হচ্ছে এমন একটি ব্যাপার যা কোন একটা বিষয় নিয়ে একজন থেকে আরেকজনে ছড়ায় গোপনে। যদি সেটা একসময় আর গোপন থাকে না। যাইহোক, কান নিয়েও আমাদের মাধ্যে রয়েছে অনেক কানকথা যা আমদের শরীরের তথা কানের জন্য মোটেও ভালো নয়। তো চলুন আজকে কান সম্পর্কে কিছু জেনে নিই- 

 

আমাদের মধ্যে কান সম্পর্কে কিছু সাধারণ কথাবার্তা প্রচলিত আছে। যেমন, কান সবসময় পরিষ্কার রাখতে হবে, কটন বাড দিয়ে নিয়মিত কানের ময়লা বের করতে হবে, কানে পানি ঢুকলে খুঁচাখুচি করে সেটা বের করার জন্য তোড়জোড় করতে হবে, সামান্য কিছু টাকার বিনিময়ে রাস্তা-ঘাট কিংবা বাজারে কান পরিষ্কার করতে হবে এছাড়াও নানা ধরণের বদ-অভ্যাস আমাদের মধ্যে রয়েছে যা কানের উপর একপ্রকার অত্যাচারই বলা চলে। তাহলে কানের যত্নে করবো কী?

 

কান পরিষ্কারের ব্যাপারটা আসলে প্রাকৃতিক। সে নিজেই নিজের যত্ন নিতে পারে। এই ব্যাপারে একজন বিশেষজ্ঞ কী বলে চলুন দেখি-

 

“আমরা কিছু হলেই কানে কটন বাড, কাপড়, দেয়াশলাই কাঠি কিংবা হাতের কাছে যা পাই তা দিয়েই খোঁচাখুঁচি শুরু করে দিই। এটা একেবারেই ঠিক নয়। এতে কানের ময়লা আরও ভিতরে ঢুকে। যা ভিতরে গিয়ে কানের ক্ষতির কারণ হতে পারে। এছাড়া খোঁচাখুঁচির কারণে কানের পর্দায় ছিদ্র বা অন্যান্য সমস্যারও সৃষ্টি হতে পারে। যা একেবারেই উচিত নয়।

 

কানের সবচেয়ে বড় যত্ন হচ্ছে কানের কোন যত্ন না নেওয়া। অর্থাৎ কান একটি সেলফ কেয়ারিং অর্গান। সে নিজেই নিজের যত্ন নিতে পারে। এর জন্য আলাদা কোন যত্নের দরকার নেই।“

 

--ডা. সঞ্জয় ব্যানার্জী।

কনসালট্যান্ট, ইএনটি, হেড এন্ড নেক, স্কয়ার হসপিটাল।

 

তবে আপনি চাইলে কানের বাইরের অংশ সাবান বা অন্যকিছু দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করতে পারেন কিন্তু ভিতরের অংশের ক্ষেত্রে তার কোন দরকার নেই। আর অনেক মহিলা আছে কানের দুল অনেকদিন না পরার কারণে কানের ছিদ্র ধীরে ধীরে ছোট হয়ে যায় যা পরবর্তীতে বিড়ম্বনার কারণ হয়। তাই এই ক্ষেত্রে মহিলাদের মধ্যে যারা নিয়মিত কানের দুল পরে না তাদেরকে কানের ঐ ছিদ্রে চিকন কোন স্বাস্থ্যসম্মত কাঠি ঢুকিয়ে রেখে দিতে পারে। এটাও কানের যত্নের একটা অংশ।