Details
882

এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষা নিয়ে রেজাল্ট নাকি অটো পাশ ?? সিদ্ধান্ত জানালেন বোর্ড সভাপতি

এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষা নিয়ে রেজাল্ট নাকি অটো পাশ ?? সিদ্ধান্ত জানালেন বোর্ড সভাপতি

এবছর কোনোভাবেই শিক্ষার্থীদের অটো পাস দেয়া হবে না, এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা নিয়েই রেজাল্ট দেয়া হবে। এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান আন্তঃশিক্ষা সমন্বয় বোর্ড সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর নেহাল আহমেদ। তবে পরীক্ষা আয়োজনের বিষয়টি নির্ভর করছে করোনা পরিস্থিতির ওপর।

 

এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের অটো পাস নিয়ে গুঞ্জন এর জবাবে তিনি এই ব্যপারটি সম্পূর্ণ ভুল বলে মন্তব্য করেন। কারণ, পরীক্ষা ছাড়া রেজাল্ট তৈরি করা খুবই কঠিন কাজ। আর তাছাড়া অটো পাসের জন্য শুধু গত বছর আইন পরিবর্তন করা হয়েছিল, সেটা এ বছরের জন্য কার্যকর হবে না। তিনি জানান, আমরা অপেক্ষা করছি, হয়তো পরীক্ষা পিছিয়ে যেতে পারে। পরীক্ষা ছাড়া আমাদের অন্য কোনো পরিকল্পনা নেই।

 

এ বিষয়ে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের সচিব তপন কুমার সরকার গণমাধ্যমকে জানয়েছেন, তারা এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণ, প্রশ্নপত্র প্রণয়ন ও ছাপার কাজটি এগিয়ে রাখছেন। প্রস্তুতি নিয়ে রাখছেন, যাতে কোনো সিদ্ধান্ত হলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া যায়।

 

গত ফেব্রুয়ারিতে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছিলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যখনই খোলা হোক না কেন, আমরা শিক্ষার্থীদের ক্লাস করিয়েই এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষা নেব। এক্ষেত্রে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের ৬০ দিন ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের ৮০ দিন ক্লাস করানো হবে।

 

এ প্রসঙ্গে প্রফেসর নেহাল আহমেদ বলেন, শিক্ষামন্ত্রী যে ঘোষণা দিয়েছিলেন, সে অনুযায়ী আমাদের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। সংক্ষিপ্ত সিলেবাস শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে পাঠানো হয়েছে। ২৩ মে যদি স্কুল-কলেজ খোলা যায়, তাহলে সেপ্টেম্বরে এসএসসিডিসেম্বরে এইচএসসি পরীক্ষা আয়োজন করা যেতে পারে।

 

তিনি বলেন, ২৩ মের মধ্যেও যদি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা সম্ভব না হয়, তখন সেটা দেখা যাবে। তবে এখনো পর্যন্ত আমরা পরীক্ষা নেওয়ার ব্যাপারে অটল রয়েছি। এখনো হাতে সময় আছে, দেখা যাক করোনা পরিস্থিতি কোথায় যায়।

 

এদিকে, করোনার কারণে এক বছরের বেশি সময় ধরে ক্লাস না হওয়ায় সংক্ষিপ্ত পাঠ্যসূচিতে গত ৩০ মার্চ থেকে ৬০ দিন শ্রেণিকক্ষে ক্লাস করিয়ে এসএসসি এবং ৮০ দিন ক্লাস করিয়ে এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়ার পরিকল্পনা ছিল। সেটিও পরবর্তীতে করোনা বৃদ্ধির কারনে নেয়া আর সম্ভব হয়নি।