Details
379

শীতের খাবার দাবার যেমন হওয়া উচিত

শীতের খাবার দাবার যেমন হওয়া উচিত

শীতকালে সুস্থতা বজায় রাখা একটি কঠিন কাজ। শীতের সময়ে ঠান্ডা জনিত নানাবিধ রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়। ঠান্ডা আবহাওয়া থাকার কারণে আমাদের গোসল, খাওয়া দাওয়া থেকে ধরে প্রতিটা ক্ষেত্রে একটা পরিবর্তন চলে আসে, যা আমাদের শরীরের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলে। শীতকালে যদিও এসবকিছু পুরোপুরি ঠিক রাখা একটু কঠিন তবুও যতোটা সম্ভব আমাদের সচেতন থাকতে হবে যাতে আমরা অসুস্থ হয়ে না যাই। কারণ শীতের এই দুইয়েক মাসের অনিয়ম পুরো বছরজুড়ে এমনকি সারাজীবন আমাদের ভোগাতে পারে। চলুন এই শীতে অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি আমাদের খাবার দাবার কেমন হওয়া উচিত জেনে নিই-

 

যারা ভোজন রসিক অর্থাৎ খাবার খেতে পছন্দ করেন তাদের জন্য এই শীতকাল কিন্তু একটা ভালো সময়। ফলফলাদি সহ নানা রকম শাক-সবজি অন্যান্য সময়ের তুলনায় শীতে বেশি পাওয়া যায়। তাই বলে খাওয়া দাওয়ার ক্ষেত্রে লাগামহীন হওয়া কখনোই স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো নয়।

 

শীতকালে আমাদের পানি পানের প্রবণতা কমে যায় যার ফলে ডিহাইড্রেশনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। ঠান্ডা পানির বদলে এই সময়ে হালকা কুসুম গরম পানি খাওয়া যায়। পাশাপাশি প্রতিদিন চা, গরম দুধ, বিভিন্নরকমের স্যুপ ও গরম খাবার খেতে পারেন। এছাড়াও আরও যা যা শীতকালের খাদ্যতালিকায় রাখা যায়-

 

সবুজ সবজি

শীতকাল মানেই নানারকমের সবজির সমাহার। আমরা চাইলেই নিয়মিত সবজি খেতে পারি। সবুজ সবজিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘এ, সি, ও কে’ । এছাড়া ফাইবারও রয়েছে যথেষ্ট পরিমাণে। সবুজ সবজি গর্ভবতী মা ও বাড়ন্ত শিশুদের জন্য অনেক উপকারি। খেয়াল রাখতে হবে যে সবজি রান্না বা সেদ্ধ করার সময় যাতে পানি ফেলে না দেওয়া হয়। এতে সবজির গুণাগুণ অনেকটাই নষ্ট হয়ে যায়।

 

মধু

শীতকালের একটি অতি জনপ্রিয় ও উপকারি খাদ্য হলো মধু। ঠান্ডা জনিত বিভিন্ন সমস্যা থেকে বাঁচতে মধু দারুণ কাজ করে। প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে কিংবা সকালে মধু খেতে পারেন। গরম দুধের সাথে মধু মিশিয়ে খেতে পারলে আরও ভালো। এছাড়াও মধুর অনেক উপকারিতা রয়েছে। শুধু শীতকাল নয় যেকোন সময়ের জন্যই মধু অনেক উপকারি।

 

রসুন

ঠান্ডা জনিত সমস্যা এড়াতে রসুনও খুব ভালো কাজ করে। চাইলে খাওয়ার সময় এক দুই কোয়া রসুন পাতের কিনারে রাখতে পারেন। খাওয়ার স্বাদও বাড়ায় আবার উপকারিতাও আছে। কারো কাঁচা রসুন খেতে সমস্যা হলে রান্না করেও খেতে পারেন তবে কাঁচা রসুন বেশি কার্যকরী। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।

 

আদা

নিয়মিত চা পান করা ভালো বিশেষ করে শীত কালে তো অবশ্যই। আর সে চা যদি হয় আদাসহ তাহলে তো কথাই নেই। এক কাজে দুই কাজ। আদা শরীরের রক্তসঞ্চালন বাড়ায় এবং বিভিন্ন ফ্লু জনিত সমস্যা প্রতিরোধ করে।

 

ডিম

প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় ডিম রাখতে পারেন। ডিমে রয়েছে পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম ও আয়রন। শুধু শীতে নয় বারো মাসই ডিম একটি সাধারণ ও অতি প্রয়োজনীয় খাবার।

 

উপরে উল্লেখিত খাদ্যতালিকার বাইরেও আরও অনেক খাবার আছে যা আপনি এই শীতে খেতে পারেন। তবে অবশ্যই নিয়ম মেনে পরিমিত খেতে হবে। শুধু খাওয়া দাওয়া নয় আপনার প্রতিদিনের নিয়ম মাফিক ও সচেতন জীবন যাপনই আপনাকে সুস্থ ও সুন্দর রাখতে পারে।